স্ত্রীকে আগুনে পুড়িয়ে মারার ঘটনায় স্বামীর যাবজ্জীবনের সাজা ঘোষনা করলো আদালত

2nd December 2020 4:28 pm বাঁকুড়া
স্ত্রীকে আগুনে পুড়িয়ে মারার ঘটনায় স্বামীর যাবজ্জীবনের সাজা ঘোষনা করলো আদালত


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :  নিজের স্ত্রীকে আগুনে পুড়িয়ে মারার অভিযোগে সুনীল বরণ পৈতণ্ডি নামে এক ব্যক্তির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ছ'মাসের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর মহকুমা আদালত। 

২০০২ সালে অনিতা ও সুনীল বরণ পৈতণ্ডির বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে অতিরিক্ত পণের দাবীতে তার স্ত্রীর উপর সুনীল বরণ পৈতণ্ডি শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন করতো বলে অভিযোগ। একই সঙ্গে কর্মসূত্রে বিষ্ণুপুরের হাজরা পাড়ায় তারা থাকাকালীন স্বামী সুনীল বরণ পৈতণ্ডি ২০১০ সালের ১৬ জুন দুপুর দু'টোর সময় স্ত্রী অনিতা পৈতণ্ডির গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় । পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অনিতা পৈতণ্ডি গত ২৫ জুন মারা যান । মৃত্যুকালে তার বয়স ছিল ২৯ বছর । মৃত্যুর সময় তার ছয় বছর ও চার  বছরের দুটি বাচ্চা ছিল । এই ঘটনার জেরে মৃতার বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযুক্ত সুনীল বরণ পৈতণ্ডিকে গ্রেফতার করে। 

এদিন এডিশেনাল ডিস্ট্রিক্ট এণ্ড সেশান জাজ আতাউর রহমানের এজলাসে এই বিচারপর্ব শেষ হয়। বিচারক আতাউর রহমান দোষী সুনীল বরণ পৈতণ্ডিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড সহ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ছ'মাসের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন। 





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।